বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
বরিশালে পাঁচদিনে ১৮শ’ মামলা :
স্টাফ রিপোর্টার:
অবৈধ যানবাহন নিরোধ, চালক ও মালিকদের সচেতনতা এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বরিশালে শুরু হওয়া ট্রাফিক সপ্তাহের পাঁচ দিন পার করল গতকাল বৃহস্পতিবার। পাঁচদিনে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উদ্যোগটি। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, অভিযানে অধিকাংশ অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাকি যেগুলো থাকে তারা সড়কেই নামছে না। জানা গেছে, ৫ দিনে ১৮ শ ১৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরমধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ৭১৫টি এবং বরিশাল জলোয় ১১০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ‘সীমাবদ্ধতা’র কারনে বাস-ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় মাত্র ৫টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। আর ২৮টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ২৪টি পিকআপ, ২৪টি মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। মোট ৭১৫টি মামলার মধ্যে এই ৮১টি মামলা ব্যতিরিকে ৬৩৪টি মামলাই দায়ের করা হয়েছে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) ফায়েজু রহমান বলেন, যত সম্ভব আমরা অবৈধ গাড়ি, লাইসেন্সবিহিন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এই অভিযান অব্যাহত ভাবে চলবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ওদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে কোতয়ালী, এয়ারপোর্ট, কাউনিয়ায় ট্রাফিক অভিযান চালালেও বন্দর থানায় তেমন কোন অভিযান চোখে পড়েনি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, চরকাউয়া থেকে লাহারহাট রুটে চলাচলকারী সবগুলো বাস ফিটনেস ছাড়া। চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ফলে নিয়মিতই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই রুটে চলাচলকারী বাসের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যাত্রীদের জীবন নিরাপদ হত। ওদিকে গত পাঁচদিনে বরিশাল জেলা পুলিশের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে যানবাহন থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রায় ১ হাজার ১শ মামলা করা হয়েছে। গতকাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখা সূত্র জানায় , ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে গত ৫ আগস্ট থেকে জেলার ১০ উপজেলায় ১০ থানার পুলিশ তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে অবৈধ যানবাহন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও উপজেলার নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে রেজিস্ট্রেশন ও চালকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রবিহীন যানবাহন আটক করা হয়। যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশি অভিযানে ৯৫৩টি মামলা হয়েছে।
জরিমানা আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ২০০ টাকা। অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২১০টি মামলা করে। এছাড়াও নির্বাহী হাকিমের নির্দেশে জরিমানা আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৭০০ টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশি অভিযানে মোট ১ হাজার ১০০টি মামলা হয়েছে। জরিমানা আদায় হয়েছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ টাকা। জরিমানা হিসেবে আদায় করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply